রবীন্দ্রনাথ
লিখেছিলেন “রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি”। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে হয়ত
কথাটা একটু অন্যভাবে প্রযোজ্য। “রেখেছ পুরুষ করে মানুষ করনি”। আজকাল প্রায়
প্রতিদিন ই ধর্ষণ অথবা শ্লীলতাহানি এর ঘটনা সামনে আসে। কিছু ঘটনা এবং ঘটনার সাথে
লিপ্ত তথাকথিত পুরুষ(!)টির মানসিক প্রবৃত্তি অবাক এর থেকেও বেশি স্তম্ভিত করে।
তিনি হয়ত নিজের অঞ্চলে বা বন্ধুমহলে “পুরুষত্বের” জয়ধ্বনি শুনে এতটাই “উদ্বুদ্ধ
এবং অনুপ্রাণিত” যে নিজের মেয়ের বয়সী বা তার থেকেও কম বয়সী কারুর উপর পুরুষত্বের
আস্ফালন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন কোন দ্বিধাবোধ ছাড়াই। আর ভুলে যান নিজের মানবিকতা।
বিকৃত মানসিকতা এর আস্ফালনে বারে বারে কলঙ্কিত হয় স্বাধীন দেশের “পরাধীন”
নারীজাতি, যাদের অসংখ্যক্ষেত্রে শুধু ধর্মের নামেই বা “কাজ উদ্ধার” এর জন্য সম্মান
দেওয়া হয়। বাস্তব এর মাটিতে দাঁড়িয়ে
প্রকৃত সম্মান হয়ত তাদের মেলেনা। আর পরের দিন খবর এর কাগজে আসে ঘটনা। “স্থান, কাল, পাত্র” বিবেচনা করে হয়ত বা সে গ্রেপ্তার হয়। আর হলেও বা কি, এর পরে আবারও “স্থান, কাল পাত্র” বিবেচনা করে তবেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং কোন সুদূর ভবিষ্যৎ এ সাজা মেলে। কিছু ঘটনা তো কোনদিন-ই দিনের আলো দেখেনা। ঘটনা গুলো ভুক্তভোগীনীর কুঁকড়ে যাওয়া শরীর ও মনের মধ্যে গুমরে মরে বাকিটা জীবন। কি আর করা যাবে তিনি তো আর গরু খাওয়া বা না খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন নি। করলে হয়ত Front Page এ স্থান পেতেন। স্থান পেতেন হাজার মানুষের দৈনিক Facebook post এর অংশ হিসেবে। যেমনটা পায় বন্ধুদের নিয়ে “দিলওয়ালে” কিংবা “বাজিরাও মাস্তানি” দেখতে যাওয়ার কথাতে। সিনেমা দেখতে দেখতে watching movie Eating Pizza with 20 others এর পোস্ট এ এত ট্র্যাফিক যা কলকাতার রাস্তায় হলে দুদিন লাগত বাড়ি পৌছাতে। মোদ্দা কথা হল আমরা সেই শ্রেণীভুক্ত জনগন যারা সব কিছু হয়ে টয়ে গেলে শুতে যাওয়ার আগে একটু আতলামি করি আর “কি দিন এল” বলে আলোচনায় মগ্ন হই।
প্রকৃত সম্মান হয়ত তাদের মেলেনা। আর পরের দিন খবর এর কাগজে আসে ঘটনা। “স্থান, কাল, পাত্র” বিবেচনা করে হয়ত বা সে গ্রেপ্তার হয়। আর হলেও বা কি, এর পরে আবারও “স্থান, কাল পাত্র” বিবেচনা করে তবেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং কোন সুদূর ভবিষ্যৎ এ সাজা মেলে। কিছু ঘটনা তো কোনদিন-ই দিনের আলো দেখেনা। ঘটনা গুলো ভুক্তভোগীনীর কুঁকড়ে যাওয়া শরীর ও মনের মধ্যে গুমরে মরে বাকিটা জীবন। কি আর করা যাবে তিনি তো আর গরু খাওয়া বা না খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন নি। করলে হয়ত Front Page এ স্থান পেতেন। স্থান পেতেন হাজার মানুষের দৈনিক Facebook post এর অংশ হিসেবে। যেমনটা পায় বন্ধুদের নিয়ে “দিলওয়ালে” কিংবা “বাজিরাও মাস্তানি” দেখতে যাওয়ার কথাতে। সিনেমা দেখতে দেখতে watching movie Eating Pizza with 20 others এর পোস্ট এ এত ট্র্যাফিক যা কলকাতার রাস্তায় হলে দুদিন লাগত বাড়ি পৌছাতে। মোদ্দা কথা হল আমরা সেই শ্রেণীভুক্ত জনগন যারা সব কিছু হয়ে টয়ে গেলে শুতে যাওয়ার আগে একটু আতলামি করি আর “কি দিন এল” বলে আলোচনায় মগ্ন হই।
একবার ভাবুন।
পুরুষ হবেন না মানুষ। So Called পুরুষ হয়ত জন্মগত ভাবে সবাই ই। কিন্তু জন্মগত ভাবে
মানুষ তো আপনি? নিজের স্ত্রী-কন্যা এর সাথে ঘটনা টা ঘটলে মানতে পারবেন তো? নাকি
সেখানেও………. ?
আমাদের কাজেই যেন
হয় আমাদের পরিচয়। অকাজ বা কুকাজ করে সংবাদ শিরোনাম এর অংশ হতে না হয়। যেন আমাদের
কারুর অকাজ নিয়ে News Channel এ এক ঘণ্টার
বিতর্কসভা না বসে।
একটু ভাববেন।
ভাবতে পয়সা লাগেনা। ট্যাক্স ও লাগেনা।